Choose your product from the mega showcase from thousands of sellers
BD Trade Blogs
> Blogs > গৃহসজ্জা > খোলামেলা রান্নাঘর

খোলামেলা রান্নাঘর


সারাহ জেবীন

আমাদের দেশে ইদানীং খোলামেলা ধারণার রান্নাঘর দেখা যাচ্ছে অনেক বাড়িতে কিংবা ফ্ল্যাটে। সাধারণত বসার ঘর বা খাবার ঘরের লাগোয়া থাকে এই রান্নাঘর। খোলামেলা পরিসরে রান্নাঘর বা ওপেন কিচেন—বাসাবাড়িতে এই ধারণা পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয়। ওপেন কিচেনের সুবিধা হলো, অন্য ঘরের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকায় পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে শেষ করা যায় রান্নার কাজ।


ন্যূনতম ১০০ বর্গফুট জায়গা থাকলেই তৈরি করা যায় ওপেন কিচেন। সেটা খাবার ঘরের সঙ্গে হলেই ভালো। এ ধরনের রান্নাঘরে অবশ্যই কিচেন হুড বা চিমনির ব্যবস্থা রাখতে হবে। না হলে পুরো ঘর ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যাবে। চুলার পেছনের দিকে এখন টিনজাতীয় একধরনের ধাতব উপাদান পাওয়া যায়, তা ব্যবহার করা যেতে পারে। না হলে অবশ্যই টাইলস ব্যবহার জরুরি। রান্নার কাজ শেষ হলে পুরো জায়গা দ্রুতই পরিষ্কার করে নিতে হবে।

ওপেন কিচেনে খুব বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। হালকা ছিমছাম আসবাব আর আসবাবে গাঢ় রঙের ব্যবহার এ ধরনের রান্নাঘরকে করে দৃষ্টিনন্দন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ওপেন কিচেন তৈরির সময় এই বিষয়গুলো তো খেয়াল রাখা দরকার। পাশাপাশি রান্নার ব্যাপারেও কিছু সতর্কতা মেনে চলা ভালো। ওপেন কিচেনে খুব বেশি ঝোল মসলাদার খাবার রান্না না করা ভালো। অতিরিক্ত তেল মসলার ঝাঁজ সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। শুধু হালকা রান্নার জন্য ওপেন কিচেন ব্যবহার করতে হবে।

খাবার বা মসলা রাখার পাত্রগুলো  গুলোতে থাকতে পারে নান্দনিকতার ছোঁয়া। না হলে বাইরের লোকের কাছে তা দৃষ্টিকটু মনে হতে পারে। এ ধরনের রান্নাঘরে খুব বেশি খোলা তাকের ব্যবস্থা না রাখাই ভালো। এর পরিবর্তে হালকা ওয়াল ক্যাবিনেটের ব্যবহার করা যেতে পারে। রান্নাঘরে কাপড়ের পর্দা ব্যবহার না করে এর পরিবর্তে বাঁশের চিক না হলে ভার্টিক্যাল ব্লাইন্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া সাধারণ আলোকসজ্জার বাইরে বিশেষ বিশেষ জায়গাকে ফোকাস করে ব্যবহার করা যেতে পারে লাইট।


জীবনযাপন >> গৃহসজ্জা